যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ পণ্যের শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত (ডিএফকিউএফ) বাজার সুবিধা প্রদানের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।
সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন কংগ্রেসম্যান টেড এস ইয়োহো’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানান।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।
বর্তমানে ‘এজিওএ’ হিসেবে পরিচিত গ্রুপের অধীনে মাত্র ৩৪টি স্বল্পোন্নত দেশ ডিএফকিউএফ সুবিধা পাচ্ছে। যদিও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এলডিসি ভুক্ত সকল দেশকে এই সুবিধা দিয়ে আসছে।
রাষ্ট্রদূত এলডিসি ভুক্ত সকল দেশের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য তুলে ধরে জিয়াউদ্দিন বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ৪০ লাখের বেশি নারী শ্রমিক সমাজে দারিদ্র্য ও চরম পন্থা নিরসনে এবং শিশু শ্রম হ্রাসে ব্যাপক অবদান রাখছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ডিএফকিউএফ’র সহায়তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যদি বাংলাদেশী পণ্যের বাজার বৃদ্ধি পায় তাহলে নিজস্ব সম্পদের মাধ্যমেই বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়ন এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আরো অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হবে।
তিনি সকল ধরনের চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা তুলে ধরেন।
তিনি সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এবং অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়সহ চলমান সহযোগিতার বিষয় তুলে ধরেন।
জিয়াউদ্দিন বলেন, মাদ্রাসা ছাত্ররা যাতে চরমপন্থার কবল থেকে রক্ষা পায় এবং সমাজে অবস্থান সমুন্নত করতে পারে সে জন্য বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান, সিনেটে পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য টেড ইয়োহো এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের চেয়ারম্যান হওয়ায় জিয়াউদ্দিন তাকে অভিনন্দন জানান।
দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) তৌফিক হাসান এবং হান্টার এম স্টাফ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।