বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য বিনিয়োগ ও উৎপাদন সহায়ক সতর্ক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন গভর্নর ফজলে কবির।
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে জুন ২০১৭ পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। যা প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে উল্লেখ ছিল। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত রেখে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ। সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ, জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং অর্থবছর শেষে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। গভর্নর বলেন, প্রথমার্ধের জন্য অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ব্যক্তিখাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ ধরা হয়েছিল। এর বিপরীতে গত নভেম্বর পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ব্যক্তিখাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৫ শতাংশ। মুদ্রা ও ঋণ প্রবাহের যৌক্তিক লক্ষ্যমাত্রা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবদান রেখেছে উল্লেখ করে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত গড় বার্ষিক ভোক্তা মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বসীমা ধরা হয়েছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। এর বিপরীতে গত ডিসেম্বর শেষে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি কমিটি গঠন সহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বলে গভর্নর উল্লেখ করেন।