Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
  • ৬ বৈশাখ, ১৪৩১
সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ মার্চ ২০১৭

নতুন ভ্যাট আইন এসএমই শিল্প বিকাশে সহায়ক হবে


প্রকাশন তারিখ : 2017-03-06

নতুন ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আইনে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে (এসএমই) করের আওতামুক্ত রাখার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসার করমুক্ত পরিসীমা কয়েকগুন বাড়োনোর ফলে দেশে এসএমই শিল্প বিকাশের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে বলে মনে করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বিদ্যমান ভ্যাট আইন, ১৯৯১ এর অধীনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে কোন না কোন নামে সামান্য পরিমাণে হলেও ভ্যাট দিতে হয়। তবে নতুন আইনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সূর্ম্পণভাবে ভ্যাটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।একইসাথে এই আইনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সর্বোচ্চ সীমা ৭ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকা করা হয়েছে।অর্থাৎ নতুন অনলাইন ভ্যাটের আওতায় যে ব্যবসায়ীর বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত তাকে নিবন্ধন নিতে হবে না এবং কোন নামে কোথাও কোন ধরণের ভ্যাট দিতে হবে না।
এ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বাসসকে বলেন,‘দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তারা (এসএমই) মূল ভূমিকা পালন করছেন। এজন্য নতুন আইনে আমরা তাদের প্রতি বিশেষ ফোকাস দিয়েছি।ব্যবসাবান্ধব এই ভ্যাট নীতি বাংলাদেশের এসএমই শিল্প বিকাশে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইনে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীরা আগের আইনের চেয়ে অনেক বেশি সুবিধা পাবেন। আগের ভ্যাট আইনের উত্তম চর্চাগুলো নতুন আইনে সংযোজন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন,আগামী ১ জুলাই অর্থ্যাৎ ১১৭ দিন পর নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন শুরু হবে। ইতোমধ্যে আমরা এর দিন গণনা শুরু করেছি।এই আইন বাস্তবায়নের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ব্যবসায়ীদের ১৫ মার্চ থেকে অনলাইনে নিবন্ধন নিতে বলা হয়েছে। তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এবার নিবন্ধন নিতে হচ্ছে না।
তিনি জানান,নতুন ভ্যাট আইনের ক্ষেত্রে আমাদের শ্লোগান হচ্ছে ‘নতুন ভ্যাট আইন হবে পানির মত সহজ ও স্বচ্ছ’।
নতুন ভ্যাট আইনে এসএমই শিল্পে রাজস্ব সংক্রান্ত সুবিধাদি প্রসঙ্গে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত কমিশনার (ভ্যাট) জাকির হোসেন বলেন,নতুন আইনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের করমুক্ত যে সুবিধা দেওয়া হয়েছে,তা সবসময় বহাল থাকবে। কেননা এনবিআর চাইলেও কোন প্রজ্ঞাপন বা এসআরও জারি করে এই সুবিধা প্রত্যাহার করতে পারবেন না। নতুন আইনে এর পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখা হয়নি।
অপরদিকে নতুন আইনে মাঝারী প্রতিষ্ঠান হলো তারা-যার বার্ষিক মোট করযোগ্য বিক্রির পরিমাণ ৩০ লাখ থেকে ৮০ লাখ টাকার মধ্যে। এসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়ে মাত্র ৩ শতাংশ হারে টার্নওভার কর প্রদান করবেন।কেবল সিগারেট এবং মদের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হবে।এই দুই খাত ছাড়া অন্য যে কোনো মাঝারী ব্যবসায়ী এ সুযোগ পাবেন। তাদের এ সুবিধা প্রত্যাহার করার ক্ষমতাও এনবিআরের নেই।
জাকির হোসেন বলেন,পুরাতন আইনে ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত যাদের বিক্রির পরিমাণ-তারা ৩ শতাংশ হারে টার্নওভার কর দিয়ে থাকে। তবে এনবিআর চাইলে তাদের কাছ থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করতে পারেন। নতুন আইনে এনবিআরের সেই সুযোগ নেই।ফলে নতুন আইনে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীদের স্বার্থ অনেক বেশি সুরক্ষিত হয়েছে।
নতুন এই আইনে অনলাইনে নিবন্ধন ও রিটার্ন দাখিল করা যাবে, এতে ব্যবসায়িক হিসাব রাখা পুরাতান আইনের তুলনায় অনেক বেশি সহজ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য,বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে প্রথম ভ্যাট ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। এরপর ২০১২ সালে নতুন ভ্যাট আইন জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। আগামী অর্থবছর অর্থ্যাৎ ১ জুলাই থেকে এটি বাস্তবায়ন হবে।

প্রকাশনাঃ বদলে যাওয়া দৃশ্যপট

জরুরি হটলাইন

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা

স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১

মুজিব১০০ আ্যাপ

নবস্পন্দন