তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় সরকার দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট প্রণয়ন করছে।
তিনি আজ সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, এই আইনের আওতায় সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ ও সাইবার ক্রিমিনালদের ক্র্যাক ডাউন করতে আন্তর্জাতিক মানের একটি ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে একটি সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি করা হচ্ছে, পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিল হবে এবং একটি ন্যাশনাল সাইবার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম গঠন করা হচ্ছে। এই সাইবার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম প্রতিনিয়ত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে পরামর্শ দেবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মন্ত্রী সভায় সাইবার সিকিউরিটি এ্যাক্ট পাস হয়েছে। এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য রয়েছে। এরপর সংসদে এই আইনটি অনুমোদনের পর ভবিষ্যতে আমাদের সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ইতোমধ্যে ৪০ বিলিয়ন মানুষ সাইবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গত ৮ বছরে বাংলাদেশ ই-গভর্নেন্সে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ করে পাবলিক এবং প্রাইভেট সেক্টরে যে অগ্রগতি হয়েছে ২০১০ সালের পর ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ পাওয়ার পর এটিএম কার্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি। ডিজিটাইজেশনের ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে ৪০ শতাংশ লেনদেন অনলাইনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে ৯টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ২১টি ক্রিটিক্যাল অবকাঠমো চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এজন্য একটি সাইবার সিকিউরিটি গাইড লাইনও তৈরি করা হয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খানের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আরো ১৫ হাজার শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হবে। এরমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে ৫ হাজার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ১০ হাজার প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, সরকার আর্নিং এন্ড লার্নিং প্রকল্পের অধীনে প্রথম পর্যায়ে ৫৫ হাজার যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষণ দেবে।