Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
  • ৭ বৈশাখ, ১৪৩১
সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ মার্চ ২০১৭

খুলনায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি বস্তির উন্নয়নের উদ্যোগ


প্রকাশন তারিখ : 2017-03-28

খুলনা মহানগরীর আটটি বস্তির উন্নয়নে ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)। সিডর ও আইলায় গৃহহারা হয়ে নগর এলাকায় আশ্রয় নেয়া অন্তত ৫৬ হাজার মানুষের ওই সব বস্তিতে পুনর্বাসন করা হবে।
জার্মান সরকারের অর্থায়নে ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অভ্যন্তরীণ অভিবাসীদের নগর ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এটি বাস্তবায়ন হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গৃহহারা জনগোষ্ঠীর বাসস্থান ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি জীবনযাত্রার মান উন্নত এবং অন্যায় প্রবণতাও কমে আসবে।
কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে ৪০ হাজার এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় মোট ৫৬ হাজার মানুষ গৃহহারা হয়। গৃহহীন হওয়া ওই সব মানুষ খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এলাকায় বিভিন্ন বস্তিতে বসবাস করছেন। কিন্তু বস্তিগুলোর ঘিঞ্জিরপূর্ণ পরিবেশ ও কর্মসংস্থানের অভাবে ওই সব লোকজন অনেকটা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। যার ফলে নগরীতে নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যায় প্রবণতাও আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে।
এসব বিষয় বিচেনায় করে খুলনা সিটি কর্পোরেশন গৃহহারা ওইসব জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অভ্যন্তরীন অভিবাসীদের নগর ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। জার্মান সরকারের অর্থে এ প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৮টি বস্তির ভৌত ও অবকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা হবে। পাশাপাশি ওইসব লোকজনকে ভোকেশনাল শিক্ষার আওতায় কম্পিউটার, সেলাই মেশিন ও ইজিবাইক চালানো নানা প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
বস্তিগুলো হলো ১৪ নং ওয়ার্ডের পূর্ব বয়রা কাদের সরদার পাড়া বস্তি, ১৬নং ওয়ার্ডের স্বর্ণালী, ১৭নং ওয়ার্ডের খোড়াবস্তি, ২২নং ওয়ার্ডের বাবু মিয়ার বস্তি, ৩০নং ওয়ার্ডের বাবুল শিকদার বস্তি, ৩১নং ওয়ার্ডের রহমানিয়া, বেগম রাইসমিল ও লবণচরা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি বস্তি।
জানা গেছে, প্রকল্পটি ইতোমধ্যে প্রি-একনেক শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য একনেকে উঠেছে। এখন একনেকে অনুমোদন মিললে আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
সিটি কর্পোরেশনের চীফ প্লানিং অফিসার আবির-উল-জব্বার বলেন, সিডর ও আইলাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে গৃহহারা হওয়া মানুষের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরিই একনেকে এটির অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। অতএব অনুমোদন মিললে এ প্রকল্পের আওতায় বাসস্থান নির্মাণ, বাস্তবভিত্তিক কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মস্থান সৃষ্টি ও শিশুদের জন্য দুধ সরবারহ করা হবে। ফলে গৃহহারা ওইসব জনগোষ্ঠীর মাথা গোঁজার ঠাই মিলবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জীবনযাত্রার মান উন্নত ও অন্যায় প্রবণতা কমে আসবে।
প্রসঙ্গত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশগত দুর্যোগসমূহের ব্যাপকতা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা ও নদী ভাঙ্গনের কারণে প্রতি বছর অসংখ্যা মানুষ গৃহহারা হয়। কিন্তু জলবায়ুতাড়িত গৃহহারা ওই সব জনগোষ্ঠীর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তেমন কোন সুনির্দিষ্ট কর্মসূচির পরিকল্পনা থাকে না।

প্রকাশনাঃ বদলে যাওয়া দৃশ্যপট

জরুরি হটলাইন

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা

স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১

মুজিব১০০ আ্যাপ

নবস্পন্দন