Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
  • ৩ বৈশাখ, ১৪৩১
সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd জানুয়ারি ২০১৮

পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হচ্ছে ২০১৯ সালে


প্রকাশন তারিখ : 2018-01-03

গত এক বছরের বেশি সময় ধরে দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুতের লোডশেডিং খুব কম হচ্ছে। কোন সমস্যা বা দুর্ঘটনা না ঘটলে বিদ্যুৎজনিত ভোগান্তি মানুষের নেই বললেই চলে। বিদ্যুতের জাতীয় গ্রীড লাইনের বরিশাল স্টেশনের পর সমস্যা দেখা দিলেও ভোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পটুয়াখালী ও বরগুনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সাময়িক সমস্যা মেটানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিষয়ে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ-অনুযোগের হার নিম্নমুখী। এ অঞ্চলে এখন নতুন আশার আলো পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। দেশের সবচেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানির এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হচ্ছে ২০১৯ সালে। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু হলে লোড শেডিং কি তা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ভুলে যাবে বলে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করছেন।
নির্মিয়মান পরিচ্ছন্ন কয়লা প্রযুক্তি স¤পন্ন পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ঘিরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পায়রায় ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য চলছে। সরকার এখানে কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য এক হাজার একর জমির উন্নয়ন করছে। এর মধ্যে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটির কাজ ৩০ শতাংশ স¤পন্ন হয়েছে। কেন্দ্র থেকে বরগুনার আমতলী হয়ে পটুয়াখালী জেলা ছাড়িয়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন তার সংযুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কো¤পানি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে কয়লাভিত্তিক এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সূত্র সমূহ জানিয়েছে, এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের এ প্রকল্পে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। নয় হাজার মেগাওয়াটের যেটি করতে যাচ্ছে সরকার, সেই হিসেবে মোট বিনিয়োগ হবে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালিত হবে ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা কয়লার মাধ্যমে। সে জন্য পায়রায় নির্মাণ করা হচ্ছে বড় কোল-ইয়ার্ড। আমদানি করা কয়লা সরাসরি পায়রা সমুদ্রবন্দর হয়ে এই কোল-ইয়ার্ডে আসবে। কয়লাভিত্তিক হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিবেশবান্ধব করার পরিকল্পনা সরকারের। বাংলাদেশের সর্বাধুনিক পাওয়ার প্ল্যান্ট এখানে স্থাপিত হচ্ছে। আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল প্ল্যান করা হচ্ছে। শকস অ্যান্ড নকসকে কন্ট্রোল করার জন্য ডি সালফারাইজেশন প্ল্যান বসানো হচ্ছে। কয়লা যেন ছড়িয়ে না যায়, সে ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। পায়রা বন্দরসংলগ্ন এ এক হাজার একর জমিতে পরে আরো একটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক, তিন হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের এলএনজিভিত্তিক এবং সৌর ও বায়ুভিত্তিক বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে সরকার।
পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন বিশ্বাস জানান, ২০১৮ সালের মধ্যে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেবার কাজ চলছে। তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র চালু হলে পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে লোড শেডিং এর সিস্টেমই থাকবে না। মানুষ নিরবিছিন্ন বিদ্যুত সেবা পাবে।

প্রকাশনাঃ বদলে যাওয়া দৃশ্যপট

জরুরি হটলাইন

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা

স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১

মুজিব১০০ আ্যাপ

নবস্পন্দন