Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
  • ৬ বৈশাখ, ১৪৩১
সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ এপ্রিল ২০১৭

মন্ত্রিসভায় জাতীয় চলচ্চিত্র নীতির খসড়া অনুমোদন


প্রকাশন তারিখ : 2017-04-04

                     

মন্ত্রিসভায় সোমবার জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭’র খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও ইতিহাস এবং দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে এ নীতিমালা তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম ব্রিফকালে সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও দেশ পরিচালনার মূল নীতির ভিত্তিতে নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণে নির্মাতাদের উৎসাহ জোগানো হয়েছে এই খসড়া আইনে।
তিনি বলেন, এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ যে, ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে প্রস্তাবিত এই খসড়া আইন অনুমোদিত হয়েছে।
সচিব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও ইতিহাস এবং শিক্ষা ও বিনোদনমূলক চলচ্চিত্রের বিকাশে উৎসাহ জোগানো হয়েছে এই নীতিমালায়। এতে ধর্মীয় উগ্রতা প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করার কথা রয়েছে। অশালীন সংলাপ ও কর্মকান্ডও প্রশ্রয় দেয়া হবে না। এ ছাড়া চলচ্চিত্র নির্মাতারা ধর্ষণের চিত্র প্রদর্শন করতে পারবে না।
নির্মাতাদের তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা, পেশাগত নৈতিকতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে বা বিভ্রান্তিমূলক কোন তথ্য প্রচার করা যাবে না।
চলচ্চিত্র নির্মাণে পরামর্শের তথ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হবে। চলচ্চিত্র আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে সুপারিশ করতে অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে আর একটি কমিটি গঠিত হবে।
চলচ্চিত্রের ইন্টেলেকচুয়াল রাইটস ও কপিরাইট সংরক্ষণ ও নকল রোধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতে চলচ্চিত্র শিল্পে যৌথ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হয়েছে। প্রস্তাবিত নীতিমালার আলোকে সেন্সরশীপ ব্যবস্থার পরিবর্তে পর্যায়ক্রমে সার্টিফিকেট ব্যবস্থা চালু হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৈঠকে অস্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ আইন-২০১৭-এ চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং অপরিহার্য জনস্বার্থে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, কবরস্থান ও শশ্মানের জমি অধিগ্রহণের বিধান রয়েছে।
তিনি বলেন, অনুমোদিত খসড়াটি হচ্ছে ১৯৮২ সালের একটি অধ্যাদেশের বাংলা রূপান্তর। উচ্চ আদালতের আদেশে এর বাংলা ভাষান্তর উপস্থাপনে কিছু বিধির সংস্কার করা হয়। বিদ্যমান ৮২ অধ্যাদেশে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, কবরস্থান ও শশ্মানের জমি অধিগ্রহণের বিধান নাই। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনের ৪(১৩) ধারায় পুনর্নির্মাণ সাপেক্ষ এসব স্থাপনার জমি অধিগ্রহণ করা যাবে। জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ জেলা প্রশাসনে পৌঁছাতে ৬০ দিন থেকে ১২০দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।
সরকার জমি অধিগ্রহণকালে বাজার মূল্যের চেয়ে তিনগুণ অধিক দাম দেয়া হবে। এ ছাড়া কোন বেসরকারি সংস্থা স্কুল স্থাপনসহ কোন জনস্বার্থে জমি অধিগ্রহণ করলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বাজার দরের চারগুণ ক্ষতিপূরণ পাবে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার এক বছরের জমির গড় মূল্যের ভিত্তিতে অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ দুই দেশের মধ্যে মোটরযানে যাত্রী যাতায়াতের ব্যাপারেও একটি খসড়া চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের ঢাকা ও ভারতের কলকাতার মধ্যে খুলনা হয়ে যাত্রীবাহী বাস সার্ভিসের কার্যক্রম নিয়ে একটি সম্মতিপত্রের খসড়ারও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের সময় কিংবা পরে এই চুক্তি ও সম্মতিপত্র স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু, সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল ও যশোরের মধ্যদিয়ে ঢাকা-কলকাতা রুটে বাস চলাচল করছে। তবে নতুন সম্মতিপত্র যখন কার্যকর হবে তখন ঢাকা-খুলনা রুটে আরেকটি বাস সার্ভিস চালু হবে বলেও তিনি জানান।
নতুন বাস সার্ভিস মাওয়া, গোপালগঞ্জ, খুলনা ও যশোর রুটে চালু হলে বর্তমান রুটের চেয়ে ৯৬ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ঢাকা-কলকাতা রুটের নতুন বাস সার্ভিস বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন।
আলম জানান, ২৩ জুলাই জাতীয় জনসেবা দিবস (ন্যাশনাল পাবলিক সার্ভিস ডে) ঘোষণার একটি প্রস্তাবও মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়।
বৈঠকে অটিজম এন্ড নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডারস সংক্রান্ত বাংলাদেশ জাতীয় পরামর্শক কমিটির চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ‘ডব্লিউএইচও চ্যাম্পিয়ন ফর অটিজম’-এ ভূষিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন ও গ্রহণ করা হয়।
গত ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম দিবস উপলক্ষে ভারতের নয়াদিল্লীতে অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ডব্লিউএইচএ-এর আঞ্চলিক কার্যালয়ে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
বৈঠকে মন্ত্রীবর্গ ও প্রতিমন্ত্রীগণ যোগ দেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট সচিবগণও উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশনাঃ বদলে যাওয়া দৃশ্যপট

জরুরি হটলাইন

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা

স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১

মুজিব১০০ আ্যাপ

নবস্পন্দন